পরিচিতি- শক্তিমান

শক্তিমান        


শক্তিমান আসলে সুর্যাংশী সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসীদের তত্ত্বাবধানে বড় হয়ে ওঠা এক সাধারণ ছেলে. তার কুণ্ডলিনী শক্তি থেকে সে সমস্ত অনন্য সাধারণ শক্তি পায়. এই সকল শক্তির সাহায্যে সে অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, সাধারণ মানুষকে বিপদ থেকে বাঁচায়. সমস্ত প্রকার পাপ বা অপরাধকে মেটানোর জন্যই তাকে এই শক্তিগুলি দেওয়া হয়. তার প্রধান শত্রু- অন্ধকার সম্রাট কিলবিশ, যে সারা পৃথিবীতে তার অনুচরদের মাধ্যমে পৃথিবীতে পাপ বাড়াচ্ছে. অনুচরদের মধ্যে প্রধান- ডঃ জয়কল, কাকোদর, কপালা, কষ্টক, তাকোদা, মার্তন্ডিকা প্রমুখ. জয়কল বাদে অধিকাংশ বাকিরা মায়াবী শক্তির অধিকারী.
ডঃ জয়কল তার শয়তানি বুদ্ধি ও বিজ্ঞানের সাহায্যে সৃষ্টি করেছিল কাঁকড়া-মানব(কেকড়া ম্যান), জুনজুনকটা(জোঁক এর জীন ক্লোন করে), ক্লোন-শক্তিমান, লাইটম্যান প্রভৃতি. প্রতি ক্ষেত্রেই শক্তিমানকে নিদারুন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়.
শক্তিমানের আসল নাম গঙ্গাধর শাস্ত্রী. মেজর রঞ্জিত সিং ও কৌশল্যার পুত্র. কিলবিশের ষড়যন্ত্রে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় দুজনেই মারা যান. দৈবাৎ ওনাদের সন্তান বেঁচে যায়. তখন তাকে লালন পালন করেন বিদ্যাধর শাস্ত্রী ও অরুন্ধতী দেবী. কাজ খুঁজতে এসে গঙ্গাধরের সঙ্গে গীতার মোলাকাত হয়. গীতা যে সংবাদপত্রে কাজ করত, সেখানেই গঙ্গাধর ফটোগ্রাফার হিসেবে যোগ দেয়. সশস্ত্র অপরাধীরা শক্তিমানের কাছে নস্যি. তার শক্তির পরিচয় পেয়ে গীতা নাম দেয় "শক্তিমান". তার প্রধান উদ্দেশ্য পৃথিবী থেকে পাপকে মুছে দেওয়া, কিলবিশকে শেষ করা. শক্তিমান ও গীতা পরে একে অপরের প্রেমে পরে যায়.
শক্তিমানের দুর্বলতা- গীতা বিশ্বাস এবং পাপপুঞ্জ. কিলবিশের পাপপুঞ্জের সামনে শক্তিমান একেবারে অচল, অক্ষম.

শক্তিমান ভারতীয় হলেও সুপারম্যান এবং বিদেশি বিভিন্ন কমিক্স থেকে অনুপ্রাণিত, একথা স্বীকার করেছেন স্বয়ং "শক্তিমান" মুকেশ খান্না নিজেই। যদিও শক্তিমানের লেখক ব্রিজমোহন পান্ডের মতে শক্তিমান পুরাণের, বিশেষত হনুমানজীর থেকে অনুপ্রাণিত. সিরিয়ালটি ১৯৯৭ থেকে ২০০৪-০৫ অবধি চলেছিল, ২৫০ বা তার বেশি এপিসোড। 

তথ্য সৌজন্যঃ বিশ্বদীপ পুরকায়স্থ 

No comments:

Post a Comment